মোস্তাকিম স্বাধীন: [২] আষাঢ়ের প্রথম সপ্তাহ পার হলেও ইলিশের বাজারে স্বস্তি পাচ্ছেন না ক্রেতারা। দীর্ঘদিন পর চাঁদপুর বড়স্টেশন মাছঘাটে বেড়েছে ইলিশের সরবরাহ। দক্ষিণাঞ্চল  থেকে আসা জেলেরা করে আড়তের সামনে মাছের স্তুপ করছে। ক্রেতা-বিক্রেতাদের হাঁকডাকে  মুখরিত এখন বড় স্টেশন মৎস্য কেন্দ্র । 

[৩] ভোলার চরফ্যাশন থেকে তোফায়েল মাঝিসহ কয়েকজন মাছঘাটে এসেছেন  ২শ মণ ইলিশ বিক্রির  জন্য।  সোহাগ গাজী নামের  এক ব্যবসায়ী বলেন, এক কেজি ওজনের মাছ প্রতি কেজি ১৭শ থেকে ১৮শ টাকা এবং ৮শ থেকে ৯শ গ্রাম ওজনের প্রতি কেজি ১৪শ’ থেকে ১৫শ’ টাকায় বিক্রি  হচ্ছে। ছোটো আকারের ইলিশ  ১ হাজার থেকে ১২শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতাদের এই দামে ইলিশ কিনতেও নাভিশ^াস  অবস্থা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরবরাহ বাড়লে দাম কমবে। (সময়ের আলো ২১-০৬-২০২৪)

[৪] গবেষকরা বলছেন, ইলিশকেন্দ্রিক বাণিজ্য মূলত এই সময়টাতেই জমে। এ সময় ইলিশের বাণিজ্য না জমলে এর সাথে সম্পৃক্ত ব্যবসায়ী, আড়ৎদার ও জেলেদের আর্থসামাজিক অবস্থায় নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। [৫] অসাধু জেলেরা নির্বিচারে ইলিশের পোনা নিধন করেছে। যার ফলে ইলিশের উৎপাদন কমেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের সমস্যার পাশাপাশি মা ইলিশ রক্ষা ও জাটকা যদি বাঁচানো যায় তাহলে এই পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হতে পারে । (আলোকিত বাংলাদেশ ১৮-০৬-২০২৪) 

[৬]  স্থানীয় বাসিন্দা বশির হোসেন বলেন, আগে মৌসুমে এতো ইলিশ খাওয়া পড়তো যে মাছ দেখলেও খেতে ইচ্ছে করতো  না । এখন চাইলেও কিনতে পারি না । চাঁদপুরের এই বড়স্টেশন বাজারেই প্রতিদিন ৪ থেকে ৫হাজার মন ইলিশ বেচাকেনা হতো। এখন সেই জৌলুস নেই। (নিউজ ২৪ ডট কম ২০-০৬-২০২৪)। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব